ডিজিটাল প্রযুক্তি - Digital Technology

ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপত্তায় অতন্দ্র প্রহরীদল

অষ্টম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৪) - ডিজিটাল প্রযুক্তি - Digital Technology - ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি | NCTB BOOK

আমরা ইতোমধ্যে তথ্য ঝুঁকি, মুঠোফোনের নিরাপত্তা, জাল ডিজিটাল উপাত্ত শনাক্ত করা, আর ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহার সম্পর্কে জেনেছি। যে বিষয়টি এসব কিছুর সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত তা হলো ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা। আমরা সবাই পাসপোর্ট সম্পর্কে জানি। কোনো বাংলাদেশী নাগরিক যখন দেশের বাইরে যেতে চান তার পাসপোর্ট থাকতে হয়। একটি পাসপোর্ট পেতে প্রথমে কিছু তথ্য একটি ফর্মে জমা দিতে হয়। এই ফর্মে বেশ কিছু তথ্য থাকে যেসব আমাদের একান্ত গোপনীয়। আগের শ্রেণিতে আমরা জেনেছিলাম ব্যক্তিগত গোপন তথ্য কী আর কীভাবে ব্যক্তিগত গোপন তথ্য সুরক্ষিত রাখা যায়। সবাই যদি এই তথ্যগুলো জেনে যায় তাহলে প্রতারকেরা এর অপব্যবহার করতে পারে। আমরা এখন সেই অংশগুলো চিহ্নিত করব।

 

পরের পৃষ্ঠার সেই ফর্মটির প্রথম দুই পাতা আমরা দেখতে পাচ্ছি। এখন আমরা গোল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করব এর মধ্যে কোনগুলো ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য।

 

 

 

 

এখন আমরা চিন্তা করে দেখি। আমরা কি চাই আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে ছড়িয়ে যাক? অবশ্যই না। আমাদের পরিবারেরও কারো ব্যক্তিগত তথ্যও ছড়িয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। কাজেই আমরা এসব ব্যাপারে খুব সচেতন থাকব।

 

অনলাইনে এসব ফাঁস হয় কী করে? অনলাইনে আমরা যখন বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপে যাই তখন সেখানে আমাদের উপস্থিতির চিহ্ন রেখে আসি। কোথাও হয়তো লগইন করি, কোথাও মন্তব্য করে আসি, কোথাও হয়তো কোনো বন্ধুকে বার্তা বা ডিজিটাল উপাত্ত পাঠাই। কখনও আমরা দলবেঁধে একটি বিষয় নিয়ে কথা বলি আর ভাবি এর বাইরে কেউ হয়তো জানে না আমরা কী নিয়ে আলাপ করছি। এটি ভীষণ ভুল ধারণা। আমরা ডিজিটাল মাধ্যমে যখন যাই করি না কেন, তার হিসাব সবসময়ই থাকে। শুধু তাই নয়, অনেক সময় দেশের আইনে কোনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপে ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল কর্মকাণ্ডের ইতিহাস সংরক্ষণ করার কথা বলা থাকে যাতে কোনো অঘটন ঘটলে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা যায়।

ডিজিটাল জগতে আমাদের উপস্থিতি ও কার্যক্রমের ইতিহাসকে বলা হয় ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট। আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে, ডিজিটাল মাধ্যমে এমন কিছু করব না যেটির কারণে বড় হয়ে ভীষণ লজ্জায় পড়ে যাব বা থানা-পুলিশ পর্যন্ত যেতে হবে। কারণ ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট কখনও মুছে না।

আগের শ্রেণিতে আমরা কিশোর বাতায়নে আমাদের একাউন্ট খুলেছিলাম। এখন আমরা কিশোর বাতায়নে গিয়ে ডিজিটাল লিটারেসির একটি কোর্স শুরু করব। (পরবর্তীতে বাড়িতে বসে আমরা কোর্সটি সম্পন্ন করব।)

 

 

আমরা যদি কিশোর বাতায়নের হোম পেজে জীবন দক্ষতা মেন্যুতে ক্লিক করি তাহলে নিচের পেইজটি দেখব।

 

 

এখন ডিজিটাল লিটারেসি বিষয়ে ক্লিক করে সেই 'মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল লিটারেসি কোর্স' এ যাব।

 

 

কোর্সটিতে কি আমরা ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টের কোনো চিহ্ন দেখতে পাচ্ছি? এক জায়গায় লেখা আছে কতজন শিক্ষার্থী কোর্সটি করেছে। এর অর্থ হলো যারা কোর্সটি করেছে তারা তাদের উপস্থিতির চিহ্ন রেখে গেছে।

 

 

চিত্র ২.১৮ তে দেখা যাচ্ছে কিছু অংশগ্রহণকারী মন্তব্য করেছে এই কোর্সটি করে তাদের কেমন লেগেছে। এই সব মন্তব্য ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টের অংশ। অনেক সময়ই অনেক ব্যবহারকারী বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অপ্রাসঙ্গিক বা রূঢ় মন্তব্য করে যা পরে অন্যরা যখন দেখে তখন সে নিজেই লজ্জায় পড়ে যায়। আমরা কখনও এমন কাজ করব না। অনলাইনে ডিজিটাল জীবনে এমন একটি ব্যাপার যেটি সবাই দেখতে পায়। কাজেই আমরা এমন কোনো কাজ করব না যেটি নিয়ে আমরা বা আমাদের পরিবার সমস্যায় পড়ে।

Content added || updated By
Promotion